আপনার জন্মের সময় সূর্য বা চন্দ্রের অবস্থান কেমন ছিল সেটা বিবেচোনা করে কোন এক লম্বা চুলের অধিকারী ব্যক্তি আপনার অতীত বর্তমান ভবিষ্যৎ বলে দিবে। বিষয়টা হাস্যকর পর্যন্তই ঠিক আছে। কিন্তু আজও এই অবৈজ্ঞানিক বিষয়টা নিয়ে মানুষ কেন কিছু বলে না সেটা ঠিক বুঝে আসে না। রাশিফল নিয়ে এখনো পত্রিকায় লেখা হয়।
আস্ট্রলজি হল কারোর জন্মের সময় কিছু নক্ষত্র, সূর্য বা চন্দ্রের অবস্থান দেখে সেই ব্যক্তির ভবিষ্যৎ বলে দেওয়া। এখানে সবথেকে বড় ফাকিটা হল যে তারাগুচ্ছ দেখে ভাগ্য বলে দেন তারা, সেই তারা সংখ্যা ১৩টি, কিন্তু ১২ মাসের সাথে মিল রাখার জন্য ১৩ তম নক্ষত্রটি বাদ দেওয়া হয়।
এখন কথা হল এই আস্ট্রলজির শুরু কবে? আজ থেকে প্রায় ২ হাজার বছর আগে এটা শুরু হয়। কিন্তু মজার বিষয় হল এই ২ হাজার বছরে সূর্য, চন্দ্র আর পৃথিবীর অবস্থানের অ্যাঙ্গেল অনেক পরিবর্তন হয়েছে। যেমন ধরুন কারোর জন যদি হয় জানুয়ারি মাসের ২৭ তারিখে তবে ক্যালেন্ডার অনুযায়ী তার হবে কুম্ভরাশি কিন্তু সূর্যের অবস্থান পরিবর্তনের দরুন পৃথিবী, চন্দ্র, সূর্যের অবস্থান অনুযায়ী তার হবে মকর রাশি। এভাবে সবারই জন্ম তারিখ অনুযায়ী রাশি একটা আর সূর্যের অবস্থান অনুযায়ী আরেকটা।
আস্ট্রলজি যে একটা ফাইযলামি তা প্রমান করার জন্য বিভিন্ন ধরনের রিসারস করা হয়েছে। একবার বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন দেশের ২০টা পত্রিকা থেকে রাশিফল এর ডাটা নেয়। দেখা যায় যে রাশির জন্য অস্ট্রেলিয়াতে অনেক ভালভাল কথা লেখা আছে ঠিক সেই রাশির জন্যই নাইজেরিয়াতে অনেক খারাপ ভবিষ্যৎবানী করা হয়েছে।
সূর্য চন্দ্রের অবস্থান দেখে মানুষ যে ভবিষ্যৎ বলে দেয় সেটা আসলে অবৈজ্ঞানিক। আগে যখন কোন শিশু শিতকালে জন্ম গ্রহন করত তবে তার মরে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশী থাকত, আবার যদি কেউ গ্রীষ্মকালে জন্মাত তবে সে হত রোগাকীর্ণ। ফসলের সময় জন্মালে খেয়ে পড়ে বাঁচতে পারত। মানুষ এগুলো বুঝতে না পেরে জন্মের সাথে সূর্য বা চন্দ্রের অবস্থানের সম্পর্ক স্থাপন করে রাশিফলে বিশ্বাস শুরু করে দেয়।
তবে আজ আমরা উন্নত, তথ্য আমাদের হাতের মুঠোয়। এখনো কেন আমরা এসব দেখি, আমার বুঝে আসে না। কেনই বা দেশ সেরা পত্রিকাগুলো এগুলো নিয়মিত ছাপায় সেটাও বুঝি না।
তথ্যগুলো খালিদ ফারহান ভাইএর ভিডিও থেকে নেওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুনঃ এই Digital Skill গুলো আপনার থাকা উচিৎ
ব্যবসা করতে চাচ্ছেন? এই ৪টি ব্যবসা আজই শুরু করতে পারেন